বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩

সংগঠন ও বাঙ্গালি-বইয়ের মূল্যায়ন

Book Review (বই মূল্যায়ন)

সাতকোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী,

রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি।

বাঙ্গালির  ইতিহাস পরাধীনতার ইতিহাস। বাঙালি সেই পাল আমল থেকে পাকিস্তান আমল পর্যন্ত কখনই স্বাধীন ছিল না। অন্যের উপর নির্ভর করা বা অন্যের অধীনে চলা আমাদের মজ্জাগত স্বভাব। রবীন্দ্রনাথের উপরের দুই পংক্তি উদ্ধৃতির মাঝেও তা স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয়। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ রচিত ‘সংগঠন ও বাঙালি’ একটি গবেষনাধর্মী বই যেখানে তিনি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে বাঙালি স্বাধীনতার এত বছর পরও সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত হতে না পারার মূল কারণ হলো সাংগাঠনিক ব্যর্থতা।

অনেক উদ্যমতার সাথে যে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে কেন সেটি দুই-এক বছর না যেতেই মুখ থুবরে পড়ে? কেন আমাদের দেশে সফল সংগঠনের সংখ্যা হাতে গোনা এত স্বল্প? কেন সংগঠন প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর সাথে সাথে সংগঠনের মৃত্যু ঘটে? সংগঠনের হাল ধরার জন্য কেন যোগ্য উত্তরাধিকারী তৈরি হচ্ছে না? এ সব সাংগাঠনিক দূর্বলতার মূলে রয়েছে আত্মপরতা-অর্থাৎ নিজের বাইরে আমরা কিছুই দেখতে চাই না, কিছুই বুঝতে চাই না। সব কিছুর মাঝে নিজের স্বার্থটা আগে খুঁজি।

দশটি অধ্যায়ের এই বইতে বাঙালির সাংগাঠনিক দূর্বলতার আরও কারণ দেখানো হয়েছে-ব্যক্তিগত অসহায়তা, অক্ষমতা ও হীনমন্যতা। আমরা বাঙালিরা জানি শুধু কাঁদত - যা আমাদের মনকে দূর্বল করে রাখে। আমাদের অক্ষমতা আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি জায়গায় ব্যর্থ করে দিয়েছে। পরের ভালো দেখলে তাই আমরা কষ্ট পাই, বিষন্ন হয়ে পড়ি এবং হীনমন্যতায় ভূগি।
প্রয়োজনের কারণে উদাহরণ টানার ক্ষেত্রে লেখক অসাধারণ নিপুণতা দেখিয়েছেন । ঈশপের গল্প, ম্যাক্সিম গোর্কির উপন্যাস থেকে সরাসরি উল্লেখ সহ অনেক উদাহরণ লেখকের যুক্তিকে স্পষ্টতর ও দৃঢ় করেছে। সাংগাঠনিক ব্যর্থতার মৌলিক কারণ হিসেবে লেখক উল্লেখ করেছেন বাঙালির স্বাস্থ্যহীনতাকে যা আমাদেরকে নিস্ক্রিয় করে রেখেছে। লেখক এ প্রসঙ্গে নিজেই উদ্ধৃতি দিয়েছেন-তিনি এ পর্যন্ত অনেক দেশে গিয়েছেন তবে বাঙ্গালির মত এত খারাপ স্বাস্থ্যের মানুষ পৃথিবীর কোথাও দেখেন নি। স্বাস্থ্যহীন মানুষ কোনোকিছু নিয়ে বেশিদিন লেগে থকতে পারে না। দীর্ঘমেয়াদী যাত্রার জন্য সুস্বাস্থ্যের খুব প্রয়োজন।

আমাদের স্বাস্থ্যহীনতার মূল কারণ হলো- যে জাতি (ভেদ্দা নামক জাতি) হতে আমদের উৎপত্তি সে জাতির শারীরিক ক্ষমতা সাধারণত কম ছিল। মৃদু ও বন্ধুভাবাপন্ন আবহাওয়া ও জাতীয় উদ্যোগের অভাবও আমাদের স্বাস্থ্যহীনতার জন্য দায়ী। তাছাড়া আমাদের দেশে যে সব খেলাধুলা হয় সে গুলোতে শারীরিক পরিশ্রম কম।

সবশেষে লেখক সুপারিশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন- আমাদের দেশের সংগঠন গুলোর ভিত্তি সভাপতি কেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ্ধতির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সংগঠন গুলো শক্তিশালী হতে পারছে না।


মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত বইটির মূল্য মাত্র একশত টাকা। বইটির উপস্থাপনাশৈলী চমৎকার । বিশেষ করে আমরা যারা সংগঠন অনুরাগী বইটি তাদের চিন্তা-চেতনার মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করবে

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৩

বীরগঞ্জ উপজেলার উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক গবেষণাধর্মী লেখা

আমার বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায়। আমাদের উপজেলার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ব্যাপারে  স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে গিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই লেখাটি।


উচ্চ শিক্ষা ও বীরগঞ্জ

উচ্চ শিক্ষিতদের মনে এক ধরনের আলো থাকে যার কারণে তাদের চারিদিকের অন্ধকার দূর হয়ে যায়। স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনুস বা জাফর ইকবালের মত ব্যক্তিগণ আমাদের দেশকে যেভাবে আলোকিত করে রেখেছেন। উচ্চ শিক্ষিতরাই পারেন পরিবর্তন আনতে।

উচ্চ শিক্ষায় বীরগঞ্জ থেকে সুযোগ পাওয়া  শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছেতবে, যে হারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে সে হারে এ সংখ্যা যথেষ্ঠ নয় এমনকি বাংলাদেশের উন্নত উপজেলা গুলোর মত নয়এর পেছনে কারণ কি? শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠান নাকি সম্মিলিত ভাবে এই এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী?

বীরগঞ্জের উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এ সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না কেন? কী পদক্ষেপ নিলে বীরগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাংলাদেশের উন্নত এলাকার মত হতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের উচ্চ শিক্ষার্থীরা এ ক্ষেত্রে কিভাবে অবদান রাখতে পারে এ বিষয়ে কিছু চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। 

উচ্চ শিক্ষা কী?                          
স্নাতক পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য (কমপক্ষে তিন বছর) সাধারণত চার বছর প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষার একটা তাত্ত্বিক ভিত্তি আছে যা কাউকে উন্নত গবেষণা পরিবশে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একজন পেশদার কর্মী হিসেবে গড়ে তুলে।[1]

১৯৬৬ সালের The UN International Covenant on Economic, Social and Cultural Rights –এর ১৩ নং অনুচ্ছেদে ঘোষণা করা হয়েছে যে “প্রতিটি উপযুক্ত উপায়ের মাধ্যমে বিশেষকরে উন্মুক্ত শিক্ষার প্রগতিশীল পরিচিতির মাধ্যমে ধারণশক্তির ভিত্তিতে উচ্চ শিক্ষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে ।"


বীরগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার বর্তমান অবস্থাঃ

বীরগঞ্জ হতে কত জন শিক্ষার্থী প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই তবুও এখানে বিগত আট বছরে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির বার্ষিক ভিত্তিতে একটি উপাত্ত প্রদান করা হলো যা সংগ্রহের জন্য কোনো স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় নি -

টেবিলঃ বীরগঞ্জ থেকে নিভিন্ন পাবলিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ভর্তির খসড়া হিসেব
শিক্ষা বর্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়
মেডিকেল
ইঞ্জিনিয়ারিং
মোট
২০০৫-০৬
৩৫
০২
০৩
৪০
২০০৬-০৭
৪০
০৩
০৭
৫০
২০০৭-০৮
৪১
০৪
০৫
৫০
২০০৮-০৯
৪২
০৫
০৮
৫৫
২০০৯-১০
৪৭
০৫
০৮
৬০
২০১০-১১
৪৯
০৬
০৭
৬২
২০১১-১২
৫০
০৭
০৮
৬৫
২০১২-১৩
৫২
০৫
০৮
৬৫
 উৎসঃ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের বীরগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার্থী


বীরগঞ্জ উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২,৫০০তবে বীরগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ খয়রুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের মতে কৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা থাকে ১৭০০ –এর মত। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৩ সালে পুরো বাংলাদেশে পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো দশ লক্ষ তার মধ্যে কৃতকার্য হয় সাড়ে সাত লক্ষ। বাংলাদেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর যদি ৬০,০০০ শিক্ষার্থী নেয়া হয় তাহলে প্রতিটি আসনের জন্য ১৩ জন শিক্ষার্থী লড়বে। যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ জন করে ধরলেও প্রতিবছর বীরগঞ্জ থেকে ১৭০ জন Chance  পাওয়ার কথা। সেখানে পাচ্ছে তার অর্ধেক অর্থাৎ ৬৫ জন।

উচ্চ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণঃ
উপরের টেবিলে আমরা দেখেছি যে হারে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ তা আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীরা নিতে পারছে না। এ ব্যর্থতার পিছনে সম্মিলিতভাবে অনেক কারণই দায়ী । বাংলাদেশ দরিদ্রের সংখ্যা অবিশ্বাস্য হারে কমে আনলেও আমাদের এলাকায় এ সংখ্যা এখনো অনেকযার ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে না করতেই সংসারের বোঝা কাঁধে এসে পড়ে, তাই আর উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ওঠা হয় না যাইহোক, মূল কারণ সমূহ নীচে দেয়া হলো...
§  কলেজ/ মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষার মান উঁচু না হওয়া
§  শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যর্থতা, রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতি এর জন্য দায়ী
§  অনুন্নত ক্যাম্পাস কাঠামো ও শিক্ষা উপকরণের স্বল্পতা
§  শিক্ষকগণ শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ অথবা সিলেবাস শেষ করার দায়িত্ব নেন, অথচ একই সিলেবাস কিভাবে পড়ালে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি সহ ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব তা বাতলে দেওয়ার অপারদর্শিতা অথবা মানসিকতার অভাব
§  শিক্ষার্থীরা উপস্থিত না থাকলে বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে যেমন কঠোর শস্তির ব্যবস্তা নেই তেমন নিয়মিত ও ভালো শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পুরস্কারের ব্যবস্থা নেই
§  প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নামে মাত্র, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এদের ভূমিকা খুবই দূর্লভ অথচ তারা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েই কমিটিতে আসেন
§  গরীব ও মেধাবীদের জন্য সুব্যবস্থার অভাব যেমন-বিনা বেতন অথবা বৃত্তির ব্যবস্থা না থাকা ।


কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজনঃ
উপরের কারণ গুলোর উল্টো পিঠেই আমাদের গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ সমূহ রয়েছে যেমন- শিক্ষার মান উন্নত করা, যোগ্য শিক্ষককে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেয়া, ক্যাম্পাস কাঠামো উন্নত করা ও শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করা, শিক্ষকগণ যেন সঠিক ও আন্তরিকভাবে পাঠ দান করেন সে ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির সঠিক উদ্যোগ থাকা ইত্যাদি অনেক শিক্ষার্থীই স্বল্প সময়ে ভর্তি যুদ্ধের জন্য এত বিশাল সিলেবাস শেষ করতে না পাড়ার শঙ্কায় কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েআগে শুধু মাত্র বড় শহড় গুলোতে এসব কোচিং থাকত। এখন বীরগঞ্জে এ রকম কোচিং অনেক। যা অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও সাহায়তা করছে। এ কোচিং গুলো যেন শুধু মাত্র বাণিজ্যিক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে না পড়ায় সে জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ এলাকার সুশীল সমাজকে। তাছাড়া SABD একটি স্বেচ্ছাচারী সংগঠন-সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে অবদান রেখে যাচ্ছে।

SABD কীঃ

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরদের নানা ভাবে পরামর্শ, অনুপ্রেরণা, কর্মশালা এমনকি গরীব ও মেধাবীদের বিশেষ সহযোগিতার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশের জন্য এই উপজেলার নিবেদিত প্রাণ উচ্চ শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এবং ঢাকায় অবস্থান করছে তারা একটি সংগঠনের ব্যানারে স্বেচ্ছাচারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে  এই সগঠনটির নাম SABD ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্যের সবুজ চত্বরে জন্ম নেয় SABD. তখন থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন পথ চলার গতি ক্রমেই ক্রমেই বেড়ে চলছে

সংগঠনটির কাজ হলো  বীরগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার্থীদের ঢাকা শহরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করা ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা ঢাকা   বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রের অবদান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখযোগ্য ধীরে ধীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে ঢাকার সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে SABD –এর সহযোগিতার Network সম্প্রসারিত হয়  এখন Student Association of  Birganj, Dhakaএর পরিবর্তে Student Association of Birganj, Dinajpur সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা উচ্চ শিক্ষার্থীরা দাবি তুলেছে-শুধুমাত্র ঢাকার শিক্ষার্থীরাই কেন, বাংলাদেশের সকল উচ্চ শিক্ষার্থী SABD –এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার রাখে এখন SABD-এর সিংহভাগ অংশ সিদ্ধান্ত নিলেই তা সম্ভব
              
SABD বীরগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে কিভাবে অবদান রাখেঃ

এই সংগঠনটির একটি নিয়মিত প্রোগ্রাম হলো ২৮ ও ২৯ রমজান উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে যেখানে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চ শিক্ষার্থীরা ফ্রী তে পরামর্শ দেয়। এটাই এই সংগঠনের বড় স্বার্থকতা ফ্রী কোচিং program থেকে যদি দুই জন শিক্ষার্থীও অনুপ্রাণিত হয় সেটাই স্বার্থকতা SABD – এর কারণে বীরগঞ্জে দুই জন উচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি আমি বা আপনি ব্যক্তিগত ভাবে যত উদ্যোগই নেই না কেন-সেই দুই  জনকে এমনভাবে অনুপ্রেরণা বা পরামর্শ দেয়া সম্ভব নয়

SABD কিভাবে উচ্চ শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কর্মপরধিকে প্রসারিত করতে পারেঃ
Ø  ফ্রী কোচিং প্রোগ্রামকে বীরগঞ্জের প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছানো
Ø  ফ্রী কোচিং প্রোগ্রামকে যুগোপযোগী ও কার্যকর করার জন্য-
v  প্রোগ্রামে বাংলাদেশ ও বিশ্বের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে power point presentation- এর মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি করা
v  প্রোগ্রামে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে বিষেশভাবে পুরস্কৃত করা এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ফোকাস করা যাতে অন্যরাও বিজয়ী হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়
v  দুই দিনের প্রোগ্রামকে পাঁচ দিনে উন্নীত করতে হবে
Ø  পালাক্রমে কলেজ ও মাদ্রাসা সমূহে শিক্ষামূলক সেমিনারের আয়োজন করতে হবে
Ø  প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতা করতে হবে
Ø  কলেজ ও মাদ্রাসা সমূহে Debating Club প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে
Ø  Facebook-SABD group page- কে উচ্চ শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধান ও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে

Ø  সর্বোপরি SABD ইফতার মাহফিল, পিকনিক ইত্যাদি প্রোগ্রামের সফল করার মাধ্যমে সকল স্তরে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে

পরিশেষে বলতে চাই, উচ্চ শিক্ষা ছাড়া উন্নত জীবন যাপন সম্ভব নয় উচ্চ শিক্ষিতরাই পারে নিজের ও এলাকার পরিবর্তন ঘটাতে তাই, আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে কিভাবে আমাদের বীরগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে সেই উদ্যোগে।